বাইডেনকে বিশ্ব নেতাদের অভিনন্দন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (৮ নভেম্বর): ডোনাল্ড ট্রাম্প পরাজয় স্বীকার না করলেও বিশ্ব নেতারা প্রেসিডেন্ট পদে সদ্য নির্বাচিত জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একইসঙ্গে বিশ্ব নেতাদের অনেকেই বাইডেনের রানিং মেট কমলা হ্যারিসকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন। খবর বিবিসি।
ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় করা টুইটে জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দুই দেশের মধ্যে 'অনন্য' সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেছেন, আমি সত্যিই আপনাদের দু'জনের সঙ্গে কাজ করার এবং এর প্রত্যাশা করছি।
অভিনন্দন জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, অগ্রাধিকারের সঙ্গে একত্রে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।
হোয়াইট হাউজে কমলা হ্যারিসের উপস্থিতি ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও জোরদার হবে উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এটি দুই দেশের জন্য বিশাল সাফল্য।
ট্রুডোর মতো ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় টুইট করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। অভিনন্দন জানিয়ে করা এক টুইটে তিনি বলেন, “বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আসুন একসাথে কাজ করি।”
ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ অভিনন্দন জানিয়ে বাইডেনকে 'একটি উন্নত ইরাক গড়ার কারণ হিসাবে বন্ধু এবং বিশ্বস্ত অংশীদার' বলে অভিহিত করেন।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে বাইডেনকে জোটের 'শক্তিশালী সমর্থক' হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেল বলেছেন তিনি জো বাইডেনের সাথে “ভবিষ্যতে সহযোগিতার” ভিত্তিতে কাজ করার জন্য আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “আমাদের সময়কার যে বিশাল চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে তা মোকাবেলায় আমেরিকা ও ইউরোপ তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট রেখে কাজ করবে”।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সাঞ্চেস বলেন তিনি বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের সাথে “সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে আগ্রহী” এবং তিনি তাদের “গুড লাক” অভিনন্দন জানান।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিস বলেছেন বাইডেন তার দেশের “প্রকৃত বন্ধু”। “তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।”
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই অবশ্য এতটা উষ্ণতা প্রকাশ করেননি। তিনি আমেরিকান গণতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন: “নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক্, আমেরিকান প্রশাসনে রাজনৈতিক, নাগরিক ও নৈতিক সব পর্যায়ে নিশ্চিত স্খলন খুবই স্পষ্ট।”