উইঘুর মুসলিম নির্যাতন: চীনের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ফেব্রুয়াারিতে ইস্তানবুলে বসবাসরত তুর্কী উইঘুরদের বিক্ষোভ
ঢাকা (২৩ মার্চ): চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। শিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর মুসলিমদের মানবাধিকার লংঘনের জন্য যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে । খবর বিবিসি।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশের বন্দীশিবিরগুলোয় লক্ষ লক্ষ উইঘুরকে আটকে রেখেছে চীন। যেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন, জোরকরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে।
চীন এগুলোকে 'সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুনঃশিক্ষণ কেন্দ্র' হিসেবে বর্ণনা করে থাকে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন - তাতে চার ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা ও তাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিনজিয়াং-এর পুলিশ প্রধানও রয়েছেন।
এর জবাবে চীনও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দশজন ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন সাধারণ মানবাধিকারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি উইঘুর মুসলমানদের নির্যাতনের এ ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা বলে উল্লেখ করেন।
ডমিনিক রাব বলেন, আমাদের সব সহযোগীর সঙ্গে চীনের সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে, মানবাধিকার লংঘনের এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ বন্ধ করে থাকবে না। এর জন্য দায়দেও বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
আরেক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেন, চীন গণহত্যা চালাচ্ছে এবং মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে। এ জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়েছে।
কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলছে, বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের প্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হচ্ছে চীনের কর্তৃপক্ষ সেখানে মানবাধিকার লংঘন করছে।