ভারতের অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা রপ্তানি স্থগিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ভারতের এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়তে পারে কোভ্যাক্স ব্যবহার করা ১৯০টি দেশে
ঢাকা (২৫ মার্চ): ভারতে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাস টিকা রপ্তানি সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে। কোভ্যাক্স ব্যবহার কারী ১৯০টি দেশে ভারতের এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়তে পারে। খবর বিবিসি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আসন্ন দিনগুলোতে স্থানীয়ভাবে টিকার চাহিদা বাড়বে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। তাই ভারতের অভ্যন্তরে বেশি পরিমাণ টিকা সরবরাহ করার প্রয়োজন হতে পারে।
টিকা রপ্তানিতে 'সাময়িক সঙ্কোচন' এর ফলে এপ্রিলের শেষদিক পর্যন্ত টিকার যোগান প্রভাবিত হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে পরিচালিত এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য সব দেশের জন্য ন্যায্যভাবে টিকার যোগান নিশ্চিত করা।
ভারতের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ও ব্রাজিলে টিকার চালান নির্দিষ্ট সময়ে পাঠায়নি। বাংলাদেশেও ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিশ্রুত ৫০ লাখ ডোজের মধ্যে ২০ লাখ ডোজ চালান এসেছে এবং মার্চের টিকার চালান এখনো আসেনি।
ভারত এরই মধ্যে ৬ কোটি ডোজ টিকা ৭৬টি দেশে রপ্তানি করেছে, যার অধিকাংশই ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
ভারতের এই সিদ্ধান্তটি এমন সময় এলো যখন ভারতে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বুধবার ভারতে নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ, যা এ বছরে দৈনিক আক্রান্তের হিসেবে সর্বোচ্চ। বুধবার ভারতে মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের।
পহেলা এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে তারা। আর এই কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর টিকার চাহিদা বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "(রপ্তানি বন্ধ) এটি সাময়িক পদক্ষেপ। অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে হবে।"
তারা জানিয়েছে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের যোগান ব্যহত হতে পারে। তবে মে মাসে অন্তত একটি ভ্যাকসিনকে জরুরি অনুমোদন দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার থেকে ভারত কোনো টিকা রপ্তানি করেনি।
তবে এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে ভারতের সরকার বা সিরাম ইনস্টিটিউট আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, সৌদি আরব ও মরক্কোতে করোনাভাইরাস টিকার চালান পাঠানো স্থগিত করেছে। সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এ বছর তারা নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য একশো কোটি ডোজ তৈরি করবে।