আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার ৫০০ পৃষ্ঠার নথি

ঢাকা ২৪ অক্টোবর: আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার ৫০০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ আবেদন জমা দিয়েছে গাম্বিয়া। আঞ্চলিক মানবাধিকার সংস্থা ফরটিফাই রাইটস এর ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ফরটিফাই রাইটস জানিয়েছে, শুক্রবার জমা দেয়া এ আবেদনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় মিয়ানমার সরকারের দায় তুলে ধরা হয়েছে।
ফরটিফাই রাইটস এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, এ আবেদন জমা দেয়ার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচারের প্রশ্ন আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্যদের প্রতি নৃশংস আচরণ এখনো অব্যহত রয়েছে। তাই তাদের জন্য আন্তর্জাতিক জবাবদিহিতাও গুরুত্বপূর্ণ।
গাম্বিয়ার আবেদনের পর মিয়ানমার আইসিজেতে পাল্টা আবেদন জমা দেয়ার জন্য তিন মাস সময় পাবে। ফরটিফাই রাইটস মনে করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা রোধে এবং গণহত্যার প্রমান সংরক্ষণের জন্য মিয়ানমারকে এখনই আইসিজের আদেশ পালন করা উচিৎ।
২০২০ সালের ২৩ জানুয়ারি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ বিচারালয় আইসিজের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুল কাফি আহমেদ ইউসুফ রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চারটি অন্তবর্তীকালীন আদেশ ঘোষণা করেন। এগুলো হচ্ছে: রোহিঙ্গাদের হত্যা, মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন ও ইচ্ছাকৃত আঘাত করা যাবে না। গণহত্যার আলামত নষ্ট করা যাবে না। গণহত্যা বা এর চেষ্টা বা ষড়যন্ত্র থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকতে হবে। মিয়ানমার পরিস্থিতি উন্নয়ণে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে বিষয়ে অবশ্যই চার মাসের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্ব পরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোড়দার করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ প্রেক্ষিতে জীবন রক্ষায় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এ নৃশংসতাকে গণহত্যা আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সলের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। এর পক্ষে গাম্বিয়া ৫০০০ পৃষ্ঠার  প্রমাণাদিও উপস্থাপন করেছে।