ইইউ-ব্রিটেনের মধ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: বিবিসি
ঢাকা (২৪ ডিসেম্বর): কয়েক মাসের আলোচনার পর অবশেষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্রিটেন ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। এর মাধ্যমে মাছ ধরার অধিকার এবং ভবিষ্যত বাণিজ্যের আইন কানুন নিয়ে দুপক্ষের দীর্ঘ দিনের বাদানুবাদের অবসান ঘটল। খবর বিবিসি।
চুক্তির পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা আমাদের আইনের নিয়ন্ত্রণ এবং ভাগ্যকে ফিরে পেয়েছি। তিনি বলেন, চুক্তি নিয়ে দুপক্ষের মাঝ তীব্র বাদানুবাদ হলেও সমগ্র ইউরোপের জন্য চুক্তিটি বেশ ভাল হয়েছে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং সমৃদ্ধি আসবে। তিনি বলেন আমরা বার্ষিক ৬৬৮ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সবচেয়ে বড় চুক্তি সম্পন্ন করেছি।
ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েনও এ চুক্তিকে ন্যায় সঙ্গত এবং ভারসাম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছেন। ব্রাসেলসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চুক্তির প্রক্রিয়াটি বেশ দীর্ঘ সমস্যা সংকুল ছিল। তবে অবশেষে আমরা ভাল একটা চুক্তিতে উপনীত হয়েছি। দু পক্ষের জন্যই এটা বেশ ন্যায় সঙ্গত এবং দায়িত্বশীল কাজ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এখন সময় এসেছে অতীত ভুলে ভবিষ্যতে দিকে তাকানোর। ব্রিটেন আমাদের আস্থাবান অংশীদার হিসেবেই থাকছে। একই সঙ্গে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন মৎস শিল্পের জন্য চুক্তিতে সাড়ে পাঁচ বছরের ‘ট্রানজিশন প্রিয়ড’ রাখা হয়েছে।
এ চুক্তির মাধ্যমে দু পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি, নিরাপত্তা এবং পরিবহন ইসুতে কাজ করবে।
চুক্তির পর ডাউনিং স্ট্রিট এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা আমাদের অর্থ, সীমান্ত, আইন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং মাছ ধরার জন্য সাগরের অধিকারে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছি। ব্রিটিশ সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি দুই পক্ষের জন্যই স্বাক্ষরিত সবচেয়ে বড় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি।
২০১৬ সালে এক গণভোটের মাধ্যমে ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। এরপর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তবে ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে ইইউ-ব্রিটেনের মধ্যে কিভাবে বাণিজ্য চলবে তা নিয়ে একটি চুক্তির আলোচনা চলছিল। অবশেষে চুক্তিতে সম্মত হয়েছেন দুই পক্ষের নেতারা। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সই না হলে দুই ব্লকের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে নানা সমস্যা দেখা দিত। এখন দুই পক্ষ চুক্তিতে সম্মত হলেও ব্রিটেন ও ইইউর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংসদে এটি পাস হতে হবে।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ব্রেক্সিটের পর মাছ ধরার কোটা ব্যবস্থা নির্ধারণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতানৈক্য ছিল। সে কারণে চুক্তিতে পৌঁছতে এত সময় লেগেছে।