স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণায় সমালোচনার মুখে ব্রিটেন

ঢাকা (২ জানয়ারি): লন্ডনের সব প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ব্রিটেনের সরকার। দেশে করোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওেয়ার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খবর বিবিসি।

জানুয়ারি থেকে লন্ডনের বিভিন্ন স্কলের টার্ম শুরু হয় বলে এ সময়ে স্কুলগুলো খুলে দেয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু লন্ডনে প্রতিহিনই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসে। এতে বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে পারে বলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ’শেষ উপায়’ হিসেবেই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী গেভিন ইউলিয়ামসন এর আগে ডিসেম্বরে মাঝামাঝি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা জানুয়ারিতে স্কুলে ফিরতে পারবে। মাধ্যমিক স্কুল এবং কলেজ খোলার বিষয়ে পরে জানিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু বুধবার শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক স্কুল এখন খোলা যাচ্ছে না। সেই সঙ্গে তিনি জানান, লন্ডনের অংশ বিশেষসহ  যেসব স্থান কোভিড ১৯ এর হটস্পট বলে চিহ্নিত সেসব স্থানে স্কুল বন্ধ থাকবে। দুদিন পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাপের প্রেক্ষিতে তিনি লন্ডন জুড়েই প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন। তবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত শিশুদের জন্য পরিচালিত স্পেশাল স্কুলগুলো খোলা থাকবে।

এর ফলে লন্ডনের প্রায় ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে স্কুলের টার্ম শুরুর অন্তত প্রথম দুই সপ্তাহ বাড়িতে বসেই শিক্ষাগ্রহন করতে হবে।      

লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের ওপর সাংঘাতিক চাপ সৃষ্ট করবে। এতে শিশুদের শিক্ষা মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে তারা দবি করেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী স্কুল বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছেন ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের যুগ্ম প্রধান ড. মেরি বোস্টেড। তিনি বলেন, লন্ডনের জন্য সেটা ঠিক সেটা সারাদেশের জন্যই প্রযোজ্য।  

ব্রিটেনে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। গত চার দিনে এ সংখ্যা ৫০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে। রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ানের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর অ্যান্ড্রেউ গোডার্ট বলেছেন, ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল, লন্ডন এবং দক্ষিণ ওয়েলসের চাপের মতো যেসব হাসপাতালগুলো এখনো তেমন চাপের সম্মুখীন হচ্ছে না, তারা অচিরেই একই চাপের মুখোমুখি হবে।