ট্রাম্পকে সরাতে মরিয়া রাজনীতিবিদরা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ছবি: বিবিসি
ঢাকা (১১ জানুয়ারি): ক্যাপিটল ভবনে হামলার ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন রাজনীতিবিদেরা। প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করতে তারা সম্মিলিত ভাবে আক্রমণের ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলের দিকে এর প্রাথমিক ভোট শুরু হতে পারে। খবর বিবিসি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সরিয়ে দিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে আহবান জানিয়ে হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস একটি প্রস্তাবে ভোট দেবে। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ভোট হয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস-এর হুইপ জেমস ক্লাইবার্ন।
স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ইতোমধ্যেই ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরুর আগে কিভাবে ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া যা সে বিষয় নিয়ে আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। পেলোসি রোববার লিখিত ভাবে আইনপ্রণেতাদের তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আমাদের সংবিধান এবং গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ, এই প্রেসিডেন্ট দুটোর জন্যই মারাত্বক হুমকি হয়ে উঠছেন।
চিঠিতে তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে তাদের প্রথম পদক্ষেপ। এরপর হাউজের ডেমোক্রেটরা তার ইমপিচমেন্টের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তারা উন্মত্ত জনতাকে ‘অভ্যুত্থানে প্ররোচনা’ দেয়ার অভিযোগ আনার পরিকল্পনা করছেন। যদি ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া পরিকল্পনা মাফিক এগোয় তাহলে ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দুইবার ইমপিচমেন্টের মুখে পড়া একমাত্র প্রেসিডেন্ট।
শুধু ডেমোক্র্যাট নয়, রিপাবলিকানদের অনেকেই তার বিরুদ্ধে সেদিন সমর্থকদের উসকে দেয়ার অভিযোগ করছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি।
হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে ইমপিচমেন্টের উদ্যোগকে রাজনৈতিক চাল বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এতে দেশের মধ্যে বিভাজন আরও বৃদ্ধি পাবে।
রিপাবলিকান সিনেটর প্যাট টুমিও রোববার ট্রাম্পের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় দেশের জন্য এখন সবচেয়ে ভালো হবে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প পদত্যাগ করে দ্রুত বিদায় নেন। না হলে আমরা সম্মিলিত আক্রমণের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’