হৃদয়ে থাকবেন ল্যারি কিং
ডেস্ক রিপোর্ট || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ঢাকা (২৪ জানুয়ারি): ল্যারি কিং, উপস্থাপনা দিয়ে যিনি জয় করেছেন বিশ্ববাসীর হৃদয়। প্রতিটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন যিনি। ইতিহাস সৃষ্টিকারী শো ‘ল্যারি কিং লাইভ’ এর সেই তারকা আর নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৮৭ বছর বয়সে গত শনিবার পৃথিবীকে বিদায় জানালেন ল্যারি।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শনিবার তাঁর সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়।
ছয় দশক ধরে বিস্তৃত সাংবাদিকতার কেরিয়ারে ল্যারি কিং প্রায় ৫০,০০০ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। ১৯৭০ থেকে ৮০ পর্যন্ত রেডিওয়ে একটি জনপ্রিয় রাতের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করতেন ল্যারি। এরপর ১৯৮৫ সালে সিএনএন কর্তা টেড টার্নারের অনুরোধে তিনি তাঁদের সঙ্গে কাজে যোগ দেন। শুরু হয় ঐতিহাসিক শো ‘ল্যারি কিং লাইভ’। রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ, বিনোদনজগতের তারকা, ষড়যন্ত্রতত্ত্বের প্রবক্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লু বুশ থেকে শুরু হয় এই শোয়ের অনুরাগীর তালিকা। জেরাল্ড ফোর্ড থেকে ব্যারাক ওবামা, প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন কিং।
২০১০ সাল পর্যন্ত একটানা ২৫ বছর এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তিনি। এছাড়া ল্যারি কিং ‘ইউএসএ টুডে’ পত্রিকায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একটি কলাম লিখে গেছেন। সম্প্রতি কিং হুলু ও রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম আরটিতে ‘ল্যারি কিং নাও’ নামে আরেকটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হয়েছিলেন।
কর্মজীবনে দুটি পিবডি ও একটি অ্যামি পুরস্কারসহ বহু প্রশংসা অর্জন করেন কিং।
দীর্ঘ কর্মজীবনে প্রখ্যাত এই টিভি হোস্ট ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বহু ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন।
গত বছর তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে দুজন পরপর মারা যান। তাদের মধ্যে একজন হৃদরোগে ও অন্যজন ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে মারা যান।
কিং ১৯৮৮ সালে ‘ল্যারি কিং কার্ডিয়াক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্বল্প আয়ের লোকজন ও যাদের মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স নেই তাদের হৃদরোগজনিত চিকিৎসার খরচ যুগিয়ে থাকে।