১১ জাতির ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্য বলয়ে ঢুকতে চাইছে ব্রিটেন
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ব্রিটেনের আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী লিজ ট্রুস। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (৩১ জানুয়ারি): ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পর অর্থনৈতিক চাপের মুখে রয়েছে ইংল্যান্ড। ব্রেক্সিট থেকে বেরুনোর পর এবং করোনা মহামারিতে ইউউ’র অনেক দেশ থেকে খাদ্যসহ অন্যান্য পণ্য আমদানিতে দেশটি বড় ধরনের সমস্যার মুখোমুখি পড়েছে।
এই অবস্থায় যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিক ভাবে ১১ জাতির ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্য বলয় ‘কম্প্রেহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ’ (সিপিটিপিপি) এ যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আগামিকাল সোমবার সিপিটিপিপি’তে জাপান এবং নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য এক বৈঠকে এই বলয়ে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাবে। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বেড়িয়ে যাওয়ার এক বছর পর ব্রিটিশ সরকার শনিবার বলেছে, তারা ১১ জাতির সিপিটিপিপিতে যোগ দেবে। এর ফলে তারা অস্ট্রিয়া, ব্রুনেই, কানাডা,, চিলি, জাপান, মালয়শিয়া, মেক্সিকো, নিউ জিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনাম থেকে অনেকটা শুল্কমুক্তভাবে পণ্য আমদানির সুযোগ পাবে।
ব্রিটেনের আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য বিষয়কমন্ত্রী লিজ ট্রুস এ বিষয়ে জাপান এবং নিউ জিল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করবেন। সেখানেই তিনি ১১ জাতির বলয়ে যোগ দেয়ার আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইইউ থেকে বেড়িয়ে আসার এক বছর পর আমরা নতুন পার্টনারশিপে যোগ দিতে যাচ্ছি। নতুন এ সম্পর্ক ব্রিটেনের জনগণের জন্য অফুরন্ত অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে আসবে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১১ জাতির এ বলয়ের অংশ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখান থেকে বেড়িয়ে গেছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনও এর সঙ্গে জড়িত নয়। ব্রিটিশ অর্থনীতিকে শুল্কের বোঝা থেকে মুক্তি দিতেই সরকার এ ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। সরকার বলছে, ১১ জাতির এ বলয়ে ঢুকতে পারলে এর সদস্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক মুক্ত পণ্য আমদানির সুবিধা পাবে।
১১ জাতির এ বলয়ের সঙ্গে ২০১৯ সালে ব্রিটেনের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১১১ বিলিয়ন পাউন্ড। আর এ বাণিজ্যের এক চতুর্থাংশই ছিল জাপানের সঙ্গে। অবশ্য এ বাণিজ্যের পরিমাণ ইইউর সঙ্গে করার বাণিজ্যের প্রায় ছয় গুণ কম।