ফিলিপাইনে ২ লাখ লোককে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ
ধেয়ে আসছে টাইফুন গনি
বিআই ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
টাইফুন গনি আঘাতের আগে শনিবার ফিলিপাইনে বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায় একটি ব্রিজ। ছবি: সিএনএন
ঢাকা (৩১ অক্টোবর) : ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ দক্ষিণাঞ্চলীয় লুজন দ্বীপের ২ লাখেরও বেশী বাসিন্দাকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসার প্রেক্ষিতে শনিবার সরকার এ নির্দেশ দিয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয় ভাবে ‘রোলি’ নামে অভিহিত পঞ্চম ক্যাটাগরির টাইফুন গনির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২১৫ কিলোমিটার যা বেড়ে ২৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। রোববার ভোরে এটি লুজন দ্বীপে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর এক সপ্তাহ আগে টাইফুন মোলাভে চীন সাগর পেরিয়ে ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে একই এলাকায় এই টাইফুনের তান্ডবে অন্তত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকা ও কৃষিজমি ।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শুরু থেকে স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে, এ সব স্কুল ও জিমনেসিয়াম জরুরি আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় কর্মকর্তারা বন্দরের সব কার্যক্রম, মাছ ধরা ও নৌকা চালানো বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও পরিচালনা কাউন্সিলের মুখপাত্র মার্ক টিমবল স্থানীয় সম্প্রচার মাধ্যমকে বলেছেন, “ টাইফুনে বাতাসের গতি প্রবল থাকবে, এতে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।” তিনি বলেন, ঝড় আমাদের পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি, আমারা মায়ান ও তাল আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরণের আশঙ্কার ব্যাপারে নজর রাখছি। ঝড়ে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এই এলাকায় ২ কোটি লোক বসবাস করে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘণ্টায় দু'শ ১৫ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড় গনির কারণে রোববার ভূমিধস হতে পারে। উপকূলীয় ও ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা গ্রেমিল নাজ।
এর আগে ২০১৩ সালে হাইয়ানের পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। ওই সময় ছয় হাজার তিনশ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স