মায়ানমারে জোরদার হচ্ছে গণ আন্দোলন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
দাগন ইউনিভার্সিটির বাইরে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: বিবিসি
ঢাকা (০৫ ফেব্রুয়ারি): মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে দাগন ইউনিভার্সিটির বাইরে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলনে যোগ দেয়ায় সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ পেয়েছে নতুন মাত্রা। খবর বিবিসি।
মায়ানমারের সবচেয়ে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা শুক্রবার বন্দী নেত্রী অং সান সু চির মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিয়েছে। বিক্ষোভে তারা সামরিক বাহিনীর বিরোধীতার প্রতীক হিসেবে তিন আঙুলের স্যালুট প্রদর্শন করে।
বিক্ষোভের অংশ নেয়া মিন সিথু নামের এক শিক্ষাথী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, “আমরা আমাদের প্রজন্মকে এই জাতীয় সামরিক শাসনের অধীনে কষ্ট পেতে দেব না।”
দাগন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা "লং লিভ মাদার সু" শ্লোগান দিয়ে সুচির মুক্তি দাবি করেন। এসময় তারা এনএলডি পার্টির রঙ বলে বিবেচিত লাল পতাকা বহন করেছিল।
মায়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলেও বেশ কয়েকটি বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে সেনা অভ্যুত্থানের পর শুক্রবারের এ বিক্ষোভকেই সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হচ্ছে।
ইয়াঙ্গুন সহ কয়েকটি শহরের বাসিন্দারা রাতে বাড়ি থেকেই হাঁড়ি এবং কলসি বাজিয়ে এবং বিপ্লবী গান গেয়ে বিক্ষোভ করেছে। সেখানে দিনের বেলাও ছোট খাটো বিক্ষোভ হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক ও বেসামরিক কর্মচারীরা ছোট আকারে বিক্ষোভ করেছেন। বা কাজ বন্ধ রেখেছেন। কেউ কেউ আবার অস্বীকৃতির প্রতীক হিসেবে লাল ফিতা পরে কাজ করেছেন।
মিয়ানমারের দ্বিতীয় শহর মান্ডলে একটি উইনভার্সিটির সামনে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ করা হয়েছে। সেখান থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে অনেকে অনলাইনেও যোগ দিয়েছেন। এ অবস্থা প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী সাময়িক দেশে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে।
বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর অনেক বার্মিজ নাগরিক প্রতিবাদ জানাতে টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো বিকল্প সোশ্যাল মিডিয়ার আশ্রয় নিচ্ছেন।
এ অবস্থায় মায়ানমারে টুইটার ব্যবহারের সংখ্যা বেড়েছে কি না বিবিসির পক্ষ থেকে জানতে চাইলে টুইটারের পক্ষ থেকে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
সোমবার মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর সু চির সঠিক অবস্থান সম্পর্কে কেউ কিছু জানে না। তাকে প্রকাশ্যে দেখাও যায়নি। সুচিকে আটকের পর সামরিক বাহিনী জাতীয় লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের আরেক সিনিয়র নেতাকেও আটক করেছে।
এনএলডির নেতৃবৃন্দ মনে করছেন মতে, সু চিকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।