মায়ানমারে গুলিতে আরও ৩৯ বিক্ষোভকারী নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ইয়াঙ্গুনে রবিবার জান্তা বিরোধী বিক্ষোভ করে জনতা
ঢাকা (১৫ মার্চ): মায়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরও ৩৯ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। রবিবারে এ ঘটনায় বাণিজ্যিক রাজধানী হ্লায়াইং থারইয়াতেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত রাজনীতিবিদরা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের ডাক দেয়ার দিনই এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
রবিবার মায়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
ইয়াঙ্গুনের হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় আন্দোলনকারীরা লাঠি ও ছুরি হাতে বিক্ষোভ করলে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাতে এই রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে।
অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের (এএপিপি) মনিটরিং গ্রুপ জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এ দিন কমপক্ষে ৩৮ জন নিহত হয়েছে।
চিকিৎসা কর্মীরা হ্লাইংথায়া এলাকায় নিহত বাড়ার আশঙ্কা করছেন। এখনো গুলিবিদ্ধ অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ৩৮ জন বিক্ষোভকারীর বাইরে একজন পুলিশের নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
এক চীনা ব্যবসায়ীর ওপর হামলা করার পর এলাকাটিতে সামরিক আইন জারি করে জান্তা সরকার। সেনাবাহিনীকে চীন সমর্থন দিচ্ছেন বলে বিক্ষোভকারীরা ধারণা করছেন।
গত মাসের অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা। বিপ্লবের ডাক দিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।
সামরিক বাহিনীর ধরপাকড় প্রতিরোধে বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাদের নেতা মান উইন খায়াং থান। তিনি বলেছেন, জাতীয় জীবনে এটি সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন মুহূর্ত। তবে অন্ধকার দূর করে শিগগিরই ভোরের আলো ফুটে উঠবে।
১ ফেব্রুয়ারি গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। তারা বেসামরিক নেতা ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির প্রধান অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও গ্রেফতার করেছে।