মায়ানমারে আরো দুই সাংবাদিক আটক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে সহিংসতা চলছে। ছবি: এএফপি
ঢাকা (২০ মার্চ): মায়ানমারের জান্তা সরকার বিবিসির একজনসহ দুই সাংবাদিককে আটক করেছে। জান্তা বিরোধী বিক্ষোভের তথ্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই শুক্রবার এ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
মিজ্জিমা নিউজ জানিয়েছে, তাদের এক সাবেক রিপোর্টোর থান টিক অং এবং বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসের অং থুরাকে রাজধানীর একটি আদালতের বাইরে থেকে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শুক্রবার আটক করেছে।
সামরিক বাহিনীর হাতে আটক হওয়া ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যেসির (এনএলডি) সিনিয়র কর্মকর্তা ইউন টেইনের শুনানির সংবাদ সংগ্রহের জন্য আটক দুই সাংবাদিক সেখানে গিয়েছিলেন।
বিবিসি এক বিবৃতিতে অং থুরাকে অজ্ঞাত লোকজন তুলে নেওয়ার ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বিবিসি বলেছে, ‘বিবিসি মায়নমারে দায়িত্বপালনকারী এর কর্মীদের সবার নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। অং থুরাকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে আমরা সাধ্যমত সব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, অং থুরা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ সাংবাদিক। তার অবস্থান চিহ্নিত করতে সহায়তার পাশপাশি তার নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বিবিসি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।
মায়ানমারে ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে এসোসিয়েট প্রেসের থেইন জাওসহ অর্ধেকই এখনো আটক রয়েছেন।
ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যেসির মুখপাত্র কাই টোয়েকে আটকের একদিন পরই শুক্রবার দুই সাংবাদিককে আটক করা হলো। সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে কাই টোয়েই ছিলেন দলীয় যে কোন তথ্যের প্রধান উৎস।
গণমাধ্যেমের ওপর সামরিক জান্তার হস্তক্ষেপের পর আট বছরের মধ্যে গেল সপ্তাহে প্রথম বারের মতো মায়ানমারে কোন বেসরকারি মালিকানাধীন পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। এদিকে, সামরিক সরকার স্থানীয় আরো পাঁচটি স্থানীয় সংবাদ সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর ফলে তারা কোন প্ল্যাটফর্মেই কোন ধরণের তথ্য সম্প্রচার বা প্রকাশ করতে পারবে না। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সরকারের এ নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা হচ্ছে।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়ানমারে ইন্টারনেট ব্যাবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেটও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। তবে স্পোটির মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ওয়াইফাই সেবা অব্যাহত রয়েছে।