হোয়াইট হাউস ছাড়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: ফাইল ফটো
ঢাকা (২৭ নভেম্বর): যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইলেকটোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন নিশ্চিত করলেই তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেবেন। বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বললেও তিনি এখনো ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করেননি। বরং বলেছেন ‘হার মেনে নেওয়া কঠিন হবে’। খবর বিবিসি।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্পকে ইলেকটোরাল কলেজের ভোটে হারলে তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেবেন কিনা, এমন প্রশ্ন করলে জবাবে এ রিপাবলিকান বলেন, “অবশ্যই আমি ছাড়বো, অবশ্যই ছাড়বো এবং আপনারা তা জানেন।”
তবে বাইডেনকে বেছে নিলে ইলেকটররা ‘ভুল করবে’ বলে মন্তব্য করার পাশাপাশি কখনোই পরাজয় স্বীকার করে নেবেন না জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, “পরাজয় মেনে নেওয়া সত্যিই খুব কঠিন হবে। কেননা আমরা জানি সেখানে (নির্বাচন) বড় ধরনের জালিয়াতি হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফের এ অভিযোগ করলেও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি। ক্ষমতা হারানোর পর নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানে থাকবেন কিনা, সে প্রসঙ্গেও কিছু বলেননি তিনি।
বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের ফল অনুযায়ী বাইডেনকে ট্রাম্পের তুলনায় ইলেকটোরাল ভোটে ৩০৬-২৩২ ব্যবধানে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রেসিডেন্ট ঠিক হয় না, হয় রাজ্যগুলোর জন্য আনুপাতিক হারে বরাদ্দ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পদ্ধতিতে।
নির্বাচিত হতে হলে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ন্যূনতম ২৭০টি পেতে হয়। পপুলার ভোটেও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন রিপাবলিকান ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় ৬০ লাখেরও বেশি ভোট পেয়েছেন বলে গণনায় দেখা গেছে।
নিয়ম অনুযায়ী, আগামী মাসে ইলেকটররা একত্রিত হয়ে ভোটের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন। সব ঠিক থাকলে ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনেরই শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার লক্ষ্যে ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা বেশ কয়েকটি রাজ্যে আইনি লড়াইয়ে নামলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আদালত তাদের আবেদন আমলে নেয়নি।
কয়েক সপ্তাহের অনিশ্চয়তা শেষে ট্রাম্প দিনকয়েক আগে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুতে সম্মতিও দিয়েছেন। যার ফলে বাইডেন এখন নিয়মিতই গোয়েন্দা ব্রিফিং পাচ্ছেন; তার শিবির গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা এবং ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য লাখ লাখ ডলার খরচের সুযোগ পাচ্ছে।