পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার বদলা নেওয়া হবে: ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফকিরজাদেহ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (২৮ নভেম্বর): শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফকিরজাদেহ হত্যার বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। শুক্রবার তেহরানের কাছে এক চোরাগোপ্তা হামলায় মহসেন নিহত হওয়ার পর ইরান এ কথা জানাল।
বিবিসি জানিয়েছে, দামাভান্দ এলাকার আবজার্দে ইরানি এ পরমাণু বিজ্ঞানীর গাড়ি লক্ষ্য করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলার পর আহত মহসেনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো যায়নি। এ হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বজ্রের মতো আঘাত হানার অঙ্গীকার করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেগান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে ইঙ্গিত করে ‘রাষ্ট্রীয় এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা’ জানাতে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি একটি টুইট বার্তায় বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা আজ বিশিষ্ট এক ইরানি বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। হামলার জন্য ইসরায়েলকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের এতে জড়িত থাকার গুরুতর ইঙ্গিত রয়েছে।’
পশ্চিমা গোয়েন্দাদের ধারণা, ফকিরজাদেহ-ই ছিলেন ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির প্রধান। তেহরান অবশ্য সবসময়ই তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ বলেই দাবি করে আসছে।
জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভাঞ্চিও হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিদেশি শক্তি বিশেষ করে ইসরায়েলের জড়িত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহসেনের হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লংঘন। মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করতেই এ কাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যায় ইসরায়েলের হাত আছে বলে অভিযোগ তুললেও এখন পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে মহসেন ফকিরজাদেহ এর নাম বলেছিলেন। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ প্রকল্পগুলোতে মহসেন কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তখন এই নামটি সবাইকে ‘মনে করে রাখতেও’ বলেছিলেন নেতানিয়াহু।