চার থেকে ছয় মাসে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে: বিল গেটস
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৪ ডিসেম্বর): সারা বিশ্বসহ যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষিতে মাইক্রোসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন, আগামি চার থেকে ছয় মাসে কোভিড পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ হতে পারে। রোবাবার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এ হুশিয়ারি দিয়েছেন।
বিল এন্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশনের কো চেয়ার বিল গেটস বলেন, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে আগামি চার থেকে ছয় মাসে কোভিড পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকারে রূপ নিতে পারে। আইএইচএমই (ইনস্টিটিউট ফর হেল্থ মেট্রিকস এন্ড ইভ্যালুয়েশন) পূর্বাভাসে বলেছে যে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আরো ২০০,০০০ মানুষের মৃত্যু হবে। তবে আমরা যদি নিয়ম মেনে চলি, অর্থাৎ মাস্ক ব্যবহার করি এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলি, তাহলে বিপুল সংখ্যক এ মৃত্যু প্রতিহত করা সম্ভব হবে।
বিশ্ব ভবিয্যতে বড় ধরণের মহামারির মুখোমুখি হবে বলে ২০১৫ সালে হুশিয়ারি দেয়া বিল গেটস বলেন, আমি ধারণা করে ছিলাম এ ধরণের মহামারি মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র আরো দক্ষতার পরিচয় দেবে। ২০১৫ সালে আমি যখন হুশিয়ারি দিয়েছিলাম, তখন মৃতের সংখ্যা বাড়ার ওপরই জোড় দিয়েছিলাম। অতএব এ ভাইরাসের ভয়াবহতা আরো বেশি হতে পারতো। আমাদের তেমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়নি। তবে যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে সেটি হলো, পাঁচ বছর আগে যে পূর্বাভাস আমি দিয়েছিলাম করোনভাইরাসের কারণে তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থনৈতিক প্রভাব যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে পড়েছে।
বিল গেস জানান, বিল এন্ড মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন ভ্যাকসিনের জন্য বেশ কিছু গবেষণায় অর্থায়ণ করছে। তিনি বলেন. এক্ষেত্রে আমরা বেশ তৎপর রয়েছি। মার্কিন সরকারের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম তহবিলদাতা হিসেবে চিহ্নিত সিইপিআই নামে একটি সংস্থার সঙ্গে অংশীদার হিসেবে আমরা কাজ করছি। তাই, ডায়াগনসিস, থেরাপি এবং ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবস্থান কোথায় সেটা আমরা জানি। জরুরী প্রয়োজনে এসব বিষয় কিভাবে একত্রিত করে কাজ করতে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। তাই সংক্রমন রোগের ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা সারা বিশ্বর জন্য প্রযোজ্য।
বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে বিল গেটস বলেন, আমরা চাই বিশ্বের অর্থনীতি সচল থাকুক। আমরা চাই মৃতের সংখ্যা কমে আসুক। আর আমরা সবাই জানি কোভিড ভ্যাকসিনের বেসিক টেকনলজি হচ্ছে একটি জার্মান কোম্পানির। এ পেন্ডামিকের সময় আন্তর্জাতিক ভাবে তথ্য বিনিময় এবং সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়া বিপর্যয় ডেকে আনবে। তাই আমাদের উচিৎ সব ধরনের ভ্যাকসিনের সক্ষমতা যাচাই করে দেখা। সহজে বেশি উৎপাদন করা যায় এমন আরো বেশি কিছু টিকা আগামিতে অনুমোদন দিতে হবে। তিনি বলেন সবারই সাবধানতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে চরম স্বার্থপর হলে চলবে না। এভাবেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।