যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনার টিকা নিলেন কৃষ্ণাঙ্গ নার্স
আন্তর্জাতিক ডেস্ক || বিজনেস ইনসাইডার
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা (১৫ ডিসেম্বর): যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের তৈরি টিকা দেয়া শুরু হলে প্রথম ডোজটি নেন নিউইয়র্কের নার্স স্যান্ড্রা লিন্ডসে। খবর বিবিসির।
ফক্স নিউজ জানিয়েছে, কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের সেবায় স্যান্ড্রা লিন্ডসে ১০ মাস প্রথম সারির স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড জুইশ মেডিকেল সেন্টারে কোভিড-১৯ রোগীদের সেবা দিয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, অ্যাফ্রো-আমেরিকান স্যান্ড্রা যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন নিলেন। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর স্যান্ড্রা চিকিৎসকদের জানান, তিনি ‘দুর্দান্ত’ অনুভব করেছেন। তিনি বলেন, ‘অন্য কোনো ভ্যাকসিন থেকে এটি আলাদা অনুভব করিনি।’ আমি আশাবাদী’।
স্যান্ড্রার সাহসিকতাকে স্যালুট জানিয়েছেন সে দেশের মানুষ এবং সংবাদমাধ্যম। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর টিকা দেয়া শুরু হওয়ায় মার্কিন প্রশাসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও।
ফাইজারের দাবি, তাদের তৈরি প্রতিষেধকের দুটি ডোজ করোনা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। প্রথম ডোজটি নেয়ার তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে স্যান্ড্রাকে। তবে পরিস্থিতি বুঝে সময়ের ব্যবধান এদিক-ওদিক হতে পারে।
রোববার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ১৪৫টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষণ করে পৌঁছে দেয়া হয় করোনার টিকা। বুধবারের মধ্যে এ সংখ্যা ৬০০ টিতে উন্নীত হবে। কর্মকর্তারা বলেছেন এ মাসের শেষ নাগাদ ২০ মিলিয়ন মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হবে।
ফাইজারের এ ভ্যাকসিন সরবরাহের কাজে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডএক্স এক্সপ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রিচার্ড স্মিথ বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক দিন’। দেশজুড়ে বিভিন্ন বিতরণ স্থানে ভ্যাকসিনের কমপক্ষে ৬৩০টি প্যাকেজ সরবরাহ করছে ফেডএক্স। চলতি সপ্তাহান্তেই ভ্যাকসিনের প্রথম ৩০ লাখ ডোজ যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন রিচার্ড স্মিথ।
হোয়াইট হাউসের ভ্যাকসিন কর্মসূচির প্রধান বলেছেন, করোনা টিকার ইন্নয়ন, অনুমোদন এবং বিতরণ কর্মসূচি যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে তাহলে ২০২১ সালের মাঝামাঝি নাগাদ টিকা নিতে ইচ্ছুক সবাই এ টিকা নিতে পারবেন। এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন বর্তমান টিকাদান কর্মসূচি এখন মৃতের সংখ্যা বাড়ার প্রবনতায় তেমন কোন প্রভাব ফেলবে না।